বাংলাদেশের পাকিস্তান জয়ে ব্যাট হাতে খুব একটা অবদান রাখতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তবে বল হাতে ভালোই করেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। দুই টেস্টের সিরিজে ৫ উইকেট নিয়েছেন। তাতে ‘বড়’ আরেকটি মাইলফলকের দিকে আরেকটু এগিয়েছেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। টেস্টে সাকিবের উইকেট এখন ২৪২টি।
ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে আর ৮টি উইকেট পেলেই বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবেন সাকিব। তাতে টেস্ট ইতিহাসের অসাধারণ একটি ক্লাবেই জায়গা পেয়ে যাবেন ৬৯টি টেস্ট খেলা অলরাউন্ডার। ক্লাবটি টেস্টে ৪ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ‘ডাবলের’। এখন পর্যন্ত যে ক্লাবের সদস্য মোটে চারজন। চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে কি ‘ডাবল’টা পাবেন সাকিব?
টেস্টে সাকিব আল হাসান
ম্যাচ | রান | সর্বোচ্চ | উইকেট | সেরা |
---|---|---|---|---|
৬৯ | ৪৫৪৩ | ২১৭ | ২৪২ | ৭/৩৬ |
১৯৮৪ সালে সবার আগে এই ‘ডাবল’ অর্জন করেছেন ইয়ান বোথাম। ইংল্যান্ড কিংবদন্তি ২৫০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন ১৯৮২ সালেই। দুই বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়ে ফেলেন বোথাম। লর্ডসের ওই ম্যাচটি ছিল বোথামের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬৯তম।
টেস্টে ৪ হাজার রান ও ২৫০ উইকেট
ম্যাচ | রান | উইকেট | |
---|---|---|---|
ইয়ান বোথাম | ১০২ | ৫২০০ | ৩৮৩ |
কপিল দেব | ১৩১ | ৫২৪৮ | ৪৩৪ |
জ্যাক ক্যালিস | ১৬৬ | ১৩২৮৯ | ২৯২ |
ড্যানিয়েল ভেট্টরি | ১১৩ | ৪৫৩১ | ৩৬২ |
৪ হাজার রান ও ২৫০ উইকেটের ‘ডাবলে’ প্রথম বোথাম এই ক্লাবে ম্যাচের হিসাবেও দ্রুততম। ৬৯ ম্যাচে ‘ডাবল’ ছুঁয়েছেন তিনি। রেকর্ডটা ভাঙার সম্ভাবনা ছিল শুধু সাকিবেরই। কিন্তু বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক অল্পের জন্যই পারছেন না সেটি। ২০০৭ সালে টেস্ট অভিষেক হওয়া সাকিব এ পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছেন ৬৯টি।
সাকিবের খেলা ৬৯ টেস্টের ১১টি বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। ওই ১১ টেস্টে এক ইনিংসে বল করার সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার। ওই ১১ টেস্টে যদি আরও ১১ ইনিংসে বল করতে পারতেন, তাহলে হয়তে বোথামের চেয়ে কম ম্যাচ খেলেই কীর্তিটা গড়ে ফেলতেন সাকিব।
এই ক্লাবের দ্বিতীয় সদস্য কপিল দেব। ১৯৮৩ সালে ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ১৯৮৯ সালে পান এই ডাবল। বোথামের মতো ভারতীয় পেস বোলিং অলরাউন্ডারও ২৫০ উইকেট পেয়েছেন আগে। ১৯৮৯ সালে ৪ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার ৫ বছর আগে ২৫০তম টেস্ট উইকেট পান কপিল। তিনি ৯৭তম ম্যাচে পেরিয়েছেন ৪ হাজার রানের মাইলফলক।
কপিলের পরের নামটা জ্যাক ক্যালিস। দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ২০০৮ সালে পেয়েছেন এই ‘ডাবল’। বোথাম-কপিলরা আগে ২৫০তম উইকেট পেলেও ক্যালিস আগে ছুঁয়েছেন ৪ হাজার রানের মাইলফলক। ২০০২ সালে টেস্টে ৪০০০তম রান করা ক্যালিস ৬ বছর পর ১২৭তম টেস্টে পেয়েছেন ২৫০তম উইকেট।
চতুর্থ নামটা নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরির। ২০১০ সালে আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৪ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে ‘ডাবলটা’ পেয়ে যান সর্বকালে অন্যতম সেরা বাঁহাতি স্পিনার। ১০১ ম্যাচে ‘ডাবল’ পাওয়া ভেট্টোরি ২৫০তম উইকেট পেয়েছিলেন ২০০৮ সালে।