ডেস্ক রিপোর্ট: গার্মেন্টস শ্রমিক সান্ত্বনার নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল করছে “নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর।”
মঙ্গলবার ( ১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে পুরাতন ও নতুন প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে বটতলা এলাকায় এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নূরে তামিম স্রোতের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সজিব আহমেদ জেনিস বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সরকার হওয়ায় পর তারা ঘোষণা করবে দেশের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয়ভাবে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে হবে না। এই সরকারের ঘোষণা করা উচিত ছিল পুলিশের গুলিতে আর কোনো শ্রমিক মারা যাবে না, কোনো শ্রমিককে বেতন বকেয়ার দাবিতে রাস্তায় নামতে হবে না, কোন শ্রমিক না খেয়ে মারা যাবে না। সাভার, আশুলিয়ার শ্রমজীবীরা যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে গনঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিল তার ফলাফল হিসেবে আজ তাদের বুকে বুলেট আর গুলি চালানো হচ্ছে। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নেমেছিল সরকার সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে উল্টো তাদের উপর বুলেট চালিয়েছে। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিধান করতে হলে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিধান আগে করতে হবে। আজকে যে গার্মেন্টস শ্রমিক শান্তা মারা গেছে সরকার সেই গার্মেন্টস শ্রমিককে নিরাপত্তা দিতে পারে নাই বরং বুলেট চালিয়েছে সুতরাং এটি একটি রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে এটাই আমাদের একমাত্র দাবি।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সোমা ডুমুরি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে শ্রমজীবীদের কষ্ট, দুর্দশা এবং বেতনের অপর্যাপ্ততা দেখে আসছি। শ্রমিকদের জীবনযাত্রার কোনো উন্নতি আমরা দেখি না। বাংলাদেশে নারী নিরাপত্তার অবনতির জায়গা নিয়ে উদ্বিগ্নবোধ করছি। যে দেশে একজন নারীকে নৃশংসভাবে হত্যা হয় সে দেশ কখনো এগিয়ে যেতে পারে না। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের দাবি এই নারী হত্যার যেন সুষ্ঠু তদন্ত হয়।