জাবিতে ভবন নির্মাণে অর্থের অপচয় না করার দাবি ছাত্র ইউনিয়নের

17

জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩য় প্রশাসনিক ভবন নির্মাণকে অপ্রয়োজনীয় ও অর্থের অপচয় হিসেবে আখ্যায়িত করে তা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। সংগঠনটি বলেছে, এ প্রকল্প স্বৈরাচারী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার তথাকথিত ‘উন্নয়ন’ দর্শনের ধারাবাহিকতা।

আজ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাবি সংসদ। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার সরকার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের নামে দেশব্যাপী একের পর এক ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্ট চালিয়েছে। জাবি প্রশাসনের প্রারম্ভিক ৩১৫ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সরকার বরাদ্দ দেয় ১৪৪৫ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা! জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অনেক অনর্থের একটি হলো ৩য় প্রশাসনিক ভবন, যেটির অনুমোদন আদায় করা হয়েছে ডিপিপি’তে ২য় প্রশাসনিক ভবনটির অস্তিত্ব একেবারে গায়েব করে দিয়ে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৩য় প্রশাসনিক ভবনের তথাকথিত প্রয়োজনীয়তাকে শক্তিশালী করতে বারংবার বলা হয়েছে, ভবনটি নির্মিত হলে শিক্ষার্থীদের দরকারি সকল সেবা এক ভবনেই মিলবে। প্রযুক্তির এই যুগে যেখানে কেবল অটোমেশন নিশ্চিত করেই শিক্ষার্থীদের হলের কক্ষে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব জরুরি নানান সেবা, সেখানে ১৫৩ কোটি খরচ করার পাঁয়তারা রীতিমত অন্যায়। তাছাড়া সংবাদ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের খোদ প্রধান প্রকৌশলীই বলেছেন, ৪০ কোটি টাকা ব্যয় করে ২য় প্রশাসনিক ভবনটি পূর্ণাঙ্গ করা সম্ভব। অর্থাৎ প্রশাসনের সুমতি ফিরলে অপচয় হবেনা প্রায় ১১৩ কোটি টাকা।

বিবৃতিতে গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের সম্প্রসারিত অংশ নির্মাণের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন, দুটি বিভাগ নিজস্ব ভবনে, দুটি বিভাগ একটি কমপ্লেক্সে ও বাকি তিনটি বিভাগ আরেকটি কমপ্লেক্সে রয়েছে। ফলে তাদেরও ক্লাসরুম সঙ্কট থাকার কথা নয়। কাজেই ৪৪ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয়ে এই অনুষদের সম্প্রসারিত ভবন নির্মাণ প্রচেষ্টাকেও বিপুল অর্থের অপচয় প্রচেষ্টা হিসেবে অবিহিত করলে অত্যুক্তি হবে না মোটেও। অথচ এই বিপুল অর্থ দিয়ে ক্লাসরুম সঙ্কটে থাকা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের বিভাগসমূহ, তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং এন্ড জিআইএস এবং আইন অনুষদের সঙ্কটসহ সমুদয় সঙ্কট সমাধান করে ফেলা সম্ভব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বৈরাচার হাসিনার ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্টের ধারাকে সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলে ছাত্র ইউনিয়ন সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করবে নিশ্চিতভাবেই।