সেনা অভিযানে অন্তত আড়াই হাজার গ্রেফতার, ৬ হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার

10

ডেস্ক রিপোর্ট: দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছয় হাজারের বেশি অবৈধ অস্ত্র এবং প্রায় ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেস-এ আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার খান। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করতে তিনি জানান, এই মুহূর্তে দেশের ৬২টি জেলায় সেনাসদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থা, গণমাধ্যম ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব হায়দার বলেন, সারাদেশে সাতশ’র বেশি বিভিন্ন ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে সেনাবাহিনী। যার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪১টি, সরকারি সংস্থা বা অফিস সংক্রান্ত ৮৬টি, রাজনৈতিক কোন্দল ৯৮টি এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ৩৮৮টি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ও বহু মানুষের জানমালের ক্ষতি প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, বিভিন্ন অপরাধী ও নাশকতামূলক কাজের ইন্ধনদাতা ও পরিকল্পনাকারীদের গ্রেফতার কার্যক্রমে সেনাবাহিনী সক্রিয় রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি বলেন, যৌথ অভিযানে ৭০০ জনের বেশি মাদক ব্যবসায়ী অথবা মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ, গাঁজাসহ অন্যান্য অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে যারা আহত হয়েছেন সেনাবাহিনী তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বলে উল্লেখ করেন সেনা কর্মকর্তা ইন্তেখাব হায়দার খান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৯৫ জনকে দেশের বিভিন্ন সিএমএইচে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ জন এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধের ব্যাপারে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন জানিয়ে কর্নেল স্টাফ ইন্তেখাব আরও বলেন, এ বিষয়ে তাদের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে, যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী যেন বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দেয়। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এটা প্রতিরোধ করার। বিচার বহিভূর্ত হত্যা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সেনাবাহিনী সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।