ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা

32

ডেস্ক রিপোর্ট: এইচএসসিতে ফেল করা একদল শিক্ষার্থীর অটোপাসের দাবির মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষার্থীদের ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।

এ বিষয়ে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে, তাহলে আমি পদত্যাগই করব। সোমবার আমার পদত্যাগপত্র জমা দেবো।

এর আগে, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার তার কার্যালয়ের নিচে এসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সামনে সরকার তথা শিক্ষা বোর্ডের অবস্থান তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, তোমরা আজকের মতো বাসায় চলে যাও। যারা আন্দোলন করেছ, দাবি জানিয়েছ- বিষয়টি নিয়ে সরকার আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে। তোমাদের ওপর আজকে যারা এখানে হামলা চালিয়েছে বা মারধর করেছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে শিক্ষার্থীরা এ সময় দাবি জানিয়ে বলে যে, রাতেই ফল বাতিলের ঘোষণা দিতে হবে। সবাইকে অটোপাস দিতে হবে। তা না হলে আমরা এখান থেকে বের হবো না।

এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা এর আগে বেলা ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হয়। পরে তারা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা তালা ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে চলে যায়। সেখানে ভাঙচুরও চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই সময়েই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন ছাত্রীসহ ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

এ হামলায় বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানান।

তাদের দাবি, ত্রুটিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক ফল বাতিলসহ দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের সঙ্গে সমভাবে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে পুনরায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের ফল প্রকাশ করতে হবে।

এদিন চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও যশোর শিক্ষা বোর্ডে ফল বাতিল করে সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি করেছে এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

গত ১৫ অক্টোবর চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।