জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মামলার আসামীকে আটক করে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
অভিযুক্ত কফিল উদ্দিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম কোতয়ালী থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ তিনটি মামলা এবং আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রয়েছে। গ্রেপ্তার হয়ে একাধিকবার কারাগারেও গেছেন তিনি। এছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনে আহত হওয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মেডিকেল টিমের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেডিকেল টিমের সদস্য মালিহা নামলা বলেন, “কফিল উদ্দিন নামে একজন আমাদেরকে ম্যসেজ দিয়ে বলেছিল যে সে চট্টগ্রাম আন্দোলনে ছিল আর সে সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়। তার চিকিৎসায় এক লাখের উপর টাকা খরচ হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আমি প্রথমত ৫,০০০ টাকা পাঠাই। পরবর্তীতে আরও ৩,০০০ টাকা পাঠাই। পরবর্তীতে সে চিকিৎসা নেয়ার জন্য ঢাকায় আসবে বলেন এবং আমি টিকিট বাবদ ১৫০০ টাকা পাঠাই। পরবর্তীতে সে আর ঢাকা আসে না। তখন আমরা বুঝে যাই যে সে ফ্রড , আমরা তাকে ব্লক করে দেই। পরবর্তীতে রেড জুলাইয়ের একটা পোস্টার দেখে আমাদের টিম থেকে হঠাৎ করে জানা যায় যে, সে হচ্ছে আসলে ফ্রড।
মালিহা নামলা আরো বলেন, “আমরা বিভিন্ন নিউজ দেখে জানতে পারি যে সে আসলে যুবলীগে ছিল এবং সে ওইভাবে আহত হয়েছিলো। সে গুলি খায় নাই বরং হাতে বারি খেয়েছিলো। গতকালকে সে হঠাৎ করে আমাকে বলে যে সে আজকে ঢাকা আসছে। পরে আমরা তাকে বুঝতে দিইনি যে আমরা তার সম্পর্কে কিছু জানি। সে ঢাকা আসে। সে আসার পর আমরা তাকে আটক করি এবং প্রক্টর স্যারের কাছে হস্তান্তর করি। এর আগে তার নামে মাদক এবং অস্ত্র মামলা আছে।”
এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন শিক্ষার্থী বলেন, “এটাতো শুধু একটা ঘটনা। এমন আরও শত শত প্রতারক ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা উচিত”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান , “অভিযুক্তকে ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তাকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে গিয়েছে।”