ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিক নিহত

43

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার ধামরাইয়ে তিন পরিবহনের মধ্যে সংঘর্ষে নাজমীন নাহার (৩৫) নামে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও অন্তত একাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিহত নাজমীন নাহার মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর এলাকার মোতালেব ফরাজির মেয়ে।
তিনি ধামরাইয়ের বালিথা এলাকার মাহমুদা এ্যাটায়ার্স লিমিটেড পোশাক কারখানায় ফিনিশিং ফোল্ডিং ম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পার্শ্ববর্তী কালামপুর এলাকায় বোনের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। তবে আহত কারো নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মহাসড়কের মানিকগঞ্জগামী লেনে এক সারিতে একটি পিকআপ, একটি সিএনজি ও একটি শ্রমিক পরিবহনকারী বাস যাচ্ছিল, পাশ দিয়ে যাওয়া একটি সেলফি বাস ওভারটেক করার সময় শ্রমিক পরিবহনকারী বাসকে চাপা দেয়। এ সময় শ্রমিক পরিবহনকারী বাসটি সামনে থাকা সিএনজিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়, এ সময় সিএনজিটি সামনের পিক-আপকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনটি পরিবহনের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় সিএনজিতে থাকা তিন নারী শ্রমিক ও চালক আহত হন। এর মধ্যে এক নারী শ্রমিক ঘটনাস্থলেই মারা যান, অপর দুইজনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও চালককে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মাহমুদা এ্যাটায়ার্স লিমিটেডের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল আ্যসিসটেন্ট কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা ওই নারীকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তার মাথা ও পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রাথমিকভাবে তার রক্তচাপ ও পালস পাওয়া যায়নি।

গণমাধ্যমকে গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি রুপল চন্দ্র দাস জানান, সকালে মহাসড়কের আরিচামুখী লেনে একটি সিএনজিকে পিছন থেকে একটি মিনিবাস ধাক্কা দেয়। এ সময় সিএনজিতে থাকা এক নারী শ্রমিক ছিটকে পরে ঘটনাস্থলে মারা যান এবং চালকসহ আরও তিনজন আহত হন। হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজি ও চাপা দেওয়া মিনিবাসকে আটক করে।