ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মারা যাওয়ার পর খালেদ মাশাল হামাসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি এখন ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনায় জড়িত মূল দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এর আগে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত হন। সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতে, ৭ অক্টোবরের হামলার `মাস্টারমাইন্ড` তথা মূল পরিকল্পনাকারী তিনিই ছিলনে। ওই হামলায় হামাসের বন্দুকধারীরা প্রায় এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করেছিলো এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে এসেছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস প্রধানের হত্যা মানে যুদ্ধের সমাপ্তি নয়। তিনি এটিকে গাজায় বছরব্যাপী যুদ্ধ “শেষের সূচনা” বলেছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, বুধবার গাজার রাফাহ শহরের একটি ভবনে অভিযান চালানো হয়েছিল। ধারণা করা হয়েছিলো যে ওই ভবনটি হামাসের সিনিয়র নেতারা ব্যবহার করেন। সেই অভিযানে তিনজন নিহত হন, সিনওয়ার তাদের মাঝে একজন। বাহিনী আরো জানায়, ওই স্থানে জিম্মির কোনো চিহ্ন নেই। পূর্বে দাবি করা হয়েছিল যে জিম্মিদের সুরক্ষার স্বার্থে সিনওয়ার ভ্রমণের সময় তাদেরকে নিজের সঙ্গে রাখবে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেন, তিনজন বন্দুকধারীকে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে দৌড়াতে দেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। একবার গুলি চালানো হলে তারা বিচ্ছিনি হয়ে যান ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার একা ভবনে প্রবেশ করে। হাগারি আরো বলেন, যে ড্রোন দিয়ে দেখা গেছে, সিনওয়ার একটি চেয়ারে বসে আছেন। ইসরায়েলি সেনারা ভবনে প্রবেশ করে নিহত এই হামাস প্রধানকে একটি ভেস্ট, বন্ধুক ও ৪০ হাজার শেকেলসহ (আট হাজার ২০০ পাউন্ড) দেখতে পায়।
আইডিএফ প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল হার্টজি হালেভি বলেছেন, আমরা বলেছিলাম আমরা তাকে ধরবো এবং তাকে ধরেছিও। তাকে ছাড়া পৃথিবী এখন ভালো। ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করতে কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়েছিলো কারণ ইসরায়েল ইয়াহিয়া সিনওয়ারের দাঁতের রেকর্ড ও আঙ্গুলের ছাপ মিলিয়ে দেখছিলো। ইসরায়েলের কাছে সিনওয়ারের জেনেটিক ডেটা সংরক্ষিত আছে। কারণ তিনি তার জীবনের কয়েক দশকই কাটিয়েছেন ইসরায়েলের কারাগারে।