অনলাইন ডেস্কঃ সাভারে চাঁদার দাবিতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম মণ্ডলের ভাই যুবলীগ নেতা জুয়েল মণ্ডল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ সময় চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ভবনটির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল কাদির মোল্লাকে মারধরসহ হত্যার চেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হলেও বিষয়টি মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে গড়িমসির অভিযোগ উঠে পুলিশের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল কাদির মোল্লা স্থানীয় আশুলিয়া মডেল টাউনের এ ব্লকের ৭নং রোডের রফিকুল ইসলামের বাড়ি নির্মাণ কাজের মালামাল সরবরাহ করে আসছেন। কাজ শুরুর পর থেকেই বিরুলিয়া ইউনিয়নের আকরান গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মণ্ডলের ছেলে জুয়েল মণ্ডল (৩৯), নজর আলীর ছেলে মো. সোহেল (৩৮), রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৮), সামাইর গ্রামের কাশেম গাছির ছেলে মাছুম গাছি (৩৫), দত্তপাড়া গ্রামের মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে মো. জাবেদ (৩৫), সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লার ফজল মণ্ডলের ছেলে রুবেল মণ্ডলসহ (৩২) অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।
একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়েয় নির্মাণাধীন ভবনটিতে হামলা চালায়। এ সময় জুয়েল মণ্ডল ইউপি সদস্য আব্দুল কাদির মোল্লার কাছে দাবিকৃত পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা চাইলে সে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে জুয়েল মণ্ডল, সোহেল, জাবেদসহ অন্যরা কাদেরকে মারধর এবং সাথে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
বিরুলিয়া ইউয়িন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হালিম বলেন, আমাদের দলীয় নেতা এবং জনপ্রতিধিকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগের সব অঙ্গসংঠনের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক জানান, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রকৃত ঘটনা তদন্তপূর্বক হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তিনি বলেন, এর আগে জুয়েল মণ্ডলের নেতৃত্বে অন্তত ১৫ জন মিলে আশুলিয়া মডেল টাউনের ভেতরে আমাকে ও আমার চাচাতো ভাইকে মারধর করে। ঘটনাটি আমি দলীয় নেতাকর্মীদের জানিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এর আগে জাবেদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার বাড়িতে গুলি চালায়।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী যেই হোক না কেন তাকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
Bangladeshpost24.com